পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ দুপুরে দুদকের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এ কথা জানানো হয়।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরের জের ধরে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিপুল অবৈধ সম্পদের অভিযোগ তদন্তের জন্য গতকাল রোববার (২১ শে এপ্রিল) দুদকে আবেদন করেছিলেন সংসদ সদস্য সায়েদুল হক সুমন।

এদিকে, আজ সকালে বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়। হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান।

এর আগে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন।

এদিকে গতকাল রোববার বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের বিচারে অভাবনীয়।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘ঢাকায় বেনজীরের আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে নতুন করে আলোচনায় উঠে আসেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদে। প্রতিবেদনে বলা হয়, স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এই মহাপরিদর্শক।